নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সিগঞ্জ শহর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়ক হচ্ছে মুক্তারপুর সড়ক। মাত্র ৯ কিলোমিটার এই পথ পাড়ি দিতে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ভরসা রাখেন লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশা ও ইজিবাইকের উপর। অথচ এই রুটে নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে নিত্যদিনই দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
দীর্ঘদিন ধরে এই পথে সিএনজির জনপ্রতি ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। কিন্তু কোরবানির ঈদের পর থেকে হঠাৎ করেই এ ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আর কোনো সিএনজিই আগের মতো ৫০ টাকায় যাত্রী নিচ্ছে না। প্রতিটি সিএনজি এখন নিয়মিতভাবে আদায় করছে ৬০ টাকা। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যা নেমে এলে কিংবা আবহাওয়া খারাপ হলে ভাড়া এক লাফে বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। অনেক সময় তা ১০০ তে গিয়ে ঠেকে।
এমন বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ করলে চালকদের কাছ থেকে শুনতে হয় অসংখ্য অজুহাত। কোনো কোনো যাত্রীকে আবার বাকবিতণ্ডার মুখে পড়তেও হয়। অনেকে চুপচাপ ভাড়া দিয়ে দিলেও কেউ কেউ প্রতিবাদ করে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।
ভুক্তভোগী যাত্রী শাকিল তালুকদার বলেন, “প্রতিদিন আমার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ যেতে হয়। আগে ৫০ টাকা দিয়েই যেতে পারতাম। কিন্তু এখন কোনো চালকই ৫০ টাকায় যেতে রাজি নয়। কমপক্ষে ৬০ টাকা নেয়, আবার অনেক সময় ৮০ টাকাও দাবি করে। যখন প্রতিবাদ করি তখন বলে—গেলে ওঠেন, না গেলে নাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো রকম সরকারি তদারকি না থাকায় সিএনজি চালকেরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে। এ কারণে প্রতিদিন কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী ও রোগীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলেন, নির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ করে তা কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে রাস্তায় ভাড়া তদারকির জন্য নিয়মিত অভিযান ও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ভাড়ার এমন নৈরাজ্য থামাতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।